‘ধর্ষণ করিনি, নাতনী সম্পর্কীয় চার শিশুকে যৌন শিক্ষা দিয়েছি’

ডেস্ক রিপোর্ট- নাতনী সম্পর্কীয় চার শিশুকে ধর্ষণ করিনি। তাদেরকে যৌন শিক্ষা দিয়েছি’। বগুড়ার জয়নাল আবেদীন নামের পঞ্চাশোর্ধ এক শিশু সিরিয়াল ধর্ষককে গ্রেফতারের পর পুলিশকে এমন কথা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে দুটি ধর্ষণ মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পেশায় ভ্যান চালক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া চার শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।

বগুড়ার অতিরিক্ত এসপি গাজিউর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। 

পুলিশ হেফাজতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল আবেদীন তার অপকর্ম স্বীকার করেছেন। ঘটনার শিকার চার শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

জয়নাল আবেদীনের বাড়ি ধুনটের গোপালপুর খাদুলী গ্রামে। স্ত্রী ঢাকায় থাকেন। একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন বলে জানা গেছে। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার চার শিশু জয়নালের দূরসম্পর্কের আত্মীয়। কাছাকাছি হওয়ায় শিশুদের যাতায়াত ছিল জয়নালের বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরের দিকে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া দুই শিশু জয়নালের বাড়িতে যায় জলপাই কুড়াতে। এ সময় জয়নাল আবেদীন তাদের জলপাই খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ঘরের ভেতর নিয়ে যান। এরপর পর্যায়ক্রমে দুই শিশুকে ধর্ষণ করেন। 

পরে রোববার দুপুরের দিকে জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে যায় প্রথম শ্রেণিতে পড়া দুই শিশু। তাদেরকেও কৌশলে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুদের মাধ্যমে বাবা ও মা ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। তখন তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানান। পরে চেয়ারম্যান কৌশলে মথুরাপুর বাজার এলাকা থেকে জয়নাল আবেদীনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ধর্ষণের শিকার দুই শিশুর বাবা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল আবেদীনের দাবি, চার শিশু যৌন মিলনের কৌশল শিখতে চেয়েছিল। তাদের বিবস্ত্র করে যৌন মিলনের প্রশিক্ষণ দেন তিনি। এ সময় তারা সামান্য ব্যথা পেয়েছে। তাদের জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়নি।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অংকিতা রব জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে চার শিশুর যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে চার শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।